সৃতি তাকালো জানালার দিকে। হঠাৎ কুয়াশার মতো এক অবয়ব বেরিয়ে জঙ্গলের দিকে চলে গেল। সৃতি জানালার কাছে এসে দাঁড়াল—দেখে ভাবল, তার দেখা কি ভুল ছিল? নাকি কিছু একটা তার দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে চাইছিল? ঠিক তখনই জঙ্গলের দিক থেকে কেউ একজন বেরিয়ে এল। সৃতি দূরে ছিল, তাই মুখটা স্পষ্ট দেখতে পায়নি, কিন্তু কেন যেন মনে হল—ওর পরিচিত কেউ! স্রেফ চোখের দেখাতেই সৃতির মাথা ঝিম ধরে গেল। সে সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ল। এদিকে স্রাবণ ব্যস্ত ছিল নিজের ব্যবসার কাজে। রাস্তা বন্ধ থাকায় রাতটা তাকে এক হোটেলে কাটাতে হল। মাঝরাতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খাওয়ার সময়, হঠাৎ তার চোখে পড়ল এক ছেলেকে, রাস্তায় ঠান্ডায় কুঁকড়ে শুয়ে আছে। স্রাবণ ভাবল, ছেলেটার কত কষ্টই না হচ্ছে। সে নিচে নেমে এল, রুম থেকে একটা কম্বল নিয়ে ছেলেটার কাছে গেল। যেই সে কাছে গেল, ছেলেটা উঠে বসলো। তার চোখে তাকাতেই স্রাবণের চোখে পানি চলে এল। স্রাবণ কাঁদতে কাঁদতে জড়িয়ে ধরল আর বলল, “কোথায় ছিলি তুই? আমরা সবাই তোকে কত খুঁজেছি! কোথায় ছিলি রে?” কিন্তু ছেলেটি কিছুই বলল না। হঠাৎ স্রাবণ টের পেল, ছেলেটা অজ্ঞান হয়ে গেছে, কিন্তু...
Comments
Post a Comment