তোমায় ছুঁয়ে থাকা স্মৃতি 3
সৃতি তাকালো জানালার দিকে। হঠাৎ কুয়াশার মতো এক অবয়ব বেরিয়ে জঙ্গলের দিকে চলে গেল। সৃতি জানালার কাছে এসে দাঁড়াল—দেখে ভাবল, তার দেখা কি ভুল ছিল? নাকি কিছু একটা তার দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে চাইছিল? ঠিক তখনই জঙ্গলের দিক থেকে কেউ একজন বেরিয়ে এল। সৃতি দূরে ছিল, তাই মুখটা স্পষ্ট দেখতে পায়নি, কিন্তু কেন যেন মনে হল—ওর পরিচিত কেউ!
স্রেফ চোখের দেখাতেই সৃতির মাথা ঝিম ধরে গেল। সে সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ল।
এদিকে স্রাবণ ব্যস্ত ছিল নিজের ব্যবসার কাজে। রাস্তা বন্ধ থাকায় রাতটা তাকে এক হোটেলে কাটাতে হল। মাঝরাতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খাওয়ার সময়, হঠাৎ তার চোখে পড়ল এক ছেলেকে, রাস্তায় ঠান্ডায় কুঁকড়ে শুয়ে আছে। স্রাবণ ভাবল, ছেলেটার কত কষ্টই না হচ্ছে।
কিন্তু ছেলেটি কিছুই বলল না। হঠাৎ স্রাবণ টের পেল, ছেলেটা অজ্ঞান হয়ে গেছে, কিন্তু তার শরীরটা অস্বাভাবিকভাবে গরম। সে চিৎকার করে হোটেলের স্টাফদের ডাকল। সবাই মিলে ছেলেটিকে ভেতরে নিয়ে এল। ভাগ্য ভালো, হোটেলেই এক ডাক্তার ছিলেন। ইনজেকশন দিয়ে চিকিৎসা শুরু করলেন। তাকে হাসপাতালেও খবর দেওয়া হল যেন সকালে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়।
স্রাবণ বসে বসে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগল—সৃতির অপেক্ষার কি অবসান হল? নাকি আরও নতুন কোনো জটিলতা অপেক্ষা করছে?
ফোন রাখার পর সৃতি দেখল, ও তো বিছানায় বসা—কিন্তু ও তো আগে নিচে পড়ে ছিল! সেটা কি কল্পনা ছিল? না কি কিছু একটা…?
💫 চলবে…
.png)
Comments
Post a Comment