"ছায়ার ভালোবাসা"
✒️ পর্ব ১: অজানা চিঠি
রিয়া তার মায়ের পুরনো বাক্সটা খুলছিল। হঠাৎ একটা হলুদ হয়ে যাওয়া চিঠি বের হলো। চিঠির উপরে শুধু লেখা —
"যদি ভালোবাসো, এসো ছায়াবনের সেই পুরনো মন্দিরে... সন্ধ্যা ছয়টায়। একা।"
রিয়ার গলা শুকিয়ে গেল। এ চিঠি তো তার মা'র লেখা নয়... তবে বাক্সে এটা এল কোথা থেকে?
✒️ পর্ব ২: ছায়াবনের ছায়া
সন্ধ্যায় সাহস করে রিয়া পৌঁছে গেল ছায়াবনে। গা ছমছমে নীরবতা, মাঝে মাঝে অজানা পাখির ডাক। হঠাৎ একটা ছায়া তার সামনে দিয়ে চলে গেল। ঠাণ্ডা হাওয়া তার শরীর কাঁপিয়ে দিল।
সে দেখল, পুরনো মন্দিরের দরজাটা আধখোলা।
তার ভিতরে ঢুকে সে যা দেখল, সেটা বিশ্বাস করা কঠিন—
একজন যুবক বসে আছে, চোখে এক অদ্ভুত বিষণ্ণতা।
"তুমি... এতদিন পর এলে?"
রিয়া হতবাক, "আমি? আমি তো তোমাকে চিনিই না!"
✒️ পর্ব ৩: অতীতের আত্মা
যুবকটি ধীরে ধীরে বলল, “আমার নাম অরণ্য। আমি গত ৫০ বছর ধরে এই মন্দিরে তোমার অপেক্ষায় আছি, রিয়া…”
"কিন্তু আমি তো এখনকার মানুষ!"
"তুমি রেনু। আমার প্রেমিকা। যাকে তারা আগুনে পুড়িয়ে মেরেছিল। তুমি এখন রিয়ার রূপে ফিরে এসেছো। তোমার চোখ, তোমার ভয়, সব একই রকম…"
রিয়া বুঝে গেল, এটা কেবল একটি চিঠির রহস্য নয়—এটা একটি পুরোনো ভালোবাসার আত্মা, যেটা ফিরে এসেছে।
✒️ পর্ব ৪: হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা
রিয়া ফিরে গেল বাড়ি, কিন্তু সে রাতে ঘুমোতে পারল না। ঘরের আয়নায় বারবার দেখা গেল অরণ্যের প্রতিবিম্ব।
সে তার ঠাকুমার কাছে সব বলল। ঠাকুমা চুপচাপ রইলেন, তারপর বললেন —
“তোর জন্মের আগেও তুই একটা ছিলি রে রিয়া… রেনু নাম ছিল তোর…”
✒️ পর্ব ৫: এক রাতের প্রতিশোধ
পরদিন রাতে রিয়া আবার গেল মন্দিরে। অরণ্য বলল, “আমাদের প্রেম অসম্পূর্ণ ছিল। কিন্তু এখন তুমি ফিরে এসেছো। এখন যদি তুমি আমাকে একবার আলিঙ্গন করো, আমি মুক্তি পাবো…”
রিয়া কাছে গেল, কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে তার শরীর ঘিরে এক অদ্ভুত শীতল বাতাস।
হঠাৎ সে বুঝতে পারল, এটা কেবল প্রেম নয়—একটা ভয়ঙ্কর আত্মা তাকে নিজের করে নিতে চাইছে চিরতরে!
রিয়া দৌড়ে বেরিয়ে গেল, পিছনে শুধু একটাই আওয়াজ –
"তুমি পালাতে পারবে না রেনু… ভালোবাসা কখনো মরে না…"
✒️ পর্ব ৬: শেষ চিঠি
রিয়া তার ঘরে ফিরে দেখল টেবিলে আরেকটা চিঠি —
"যদি এবারো পালাও, আমি আসব… তোমার নিঃশ্বাসে, ছায়ায়, আয়নায়…"
গল্প এখানেই শেষ হয় না…
ভালোবাসা কি শেষ হয়ে যায় মৃত্যুর পরেও? নাকি সেটা শুরু হয় ঠিক তখনই?

Comments
Post a Comment